বিয়ের আগের এক সপ্তাহ থেকে পরের এক সপ্তাহ বাসাতে লোকজন ভর্তি থাকে। এ সময় ইচ্ছে করেই হোক আর না করেই হোক মানুষ একটু বেপরোয়া খরচ করে।সকালের ঘুমটা ভাঙ্গল নাসরিনের ম্যসেজে "কিরে এখনো কি নূপুর পড়া মেয়ে হেটে বেরাচ্ছে নাকি? "মশিউর মনে মনে হাসল।বিকেলে একটা শুভ খবর আসল।দুসপ্তাহ আগে একটা চাকরির আবেদন করেছিলো। সেটার জন্য ঢাকাতে ভাইবার জন্য ডাকছে।বুধবার ভাইবা।আজ শনিবার। বর্তমানে চাকরির বাজার থমথমে এর উপর করোনার জন্য সব কিছু স্থবির। এখন কোনো সুযোগ হাত ছাড়া করা হবে বোকামির চুরান্ত কাজ। হাতে কদিন সময় আছে। ভাইবার জন্য যতেষ্ট কিনা মশিউর জানে না।তবে সে ভাইবা দিতে যাবে এটা সে ভেবে রেখেছে।সকালে বোনের ছোট্র মেয়েটা এসে বাইনা ধরল। মামা ঝাল মুড়ি খাব।মশিউর নরম করে বলল এই বয়সে এসব খেতে হয় না মামা।মেয়েটার মুখটা অনেক মিষ্টি কাছে টেনে আদর করতে ইচ্ছে হয়। মশিউর তাই করল।নেহাৎ বাজার দূরে তাই ঝালমুরির আবদার মেটানো যাচ্ছে না।মশিউর ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম বের করে মেয়েটার হাতে দিল।মেয়েটা এতেই খুশি হলো।বাচ্চা মেয়েদের খুশি রাখা সহজ এরা যা চাই তাই বা তার আশেপাশে কিছু দিলে খুশি থাকে। সকাল সকাল ডেকোরেশনের লোক এসে সব কিছু খুলে নিয়ে গেল।বাড়িও মোটামুটি ফাকা হতে লাগল।মশিউর মোটামুটি মাথাকে ফ্রেশ রাখার চেষ্টা করতে লাগল।কারণ আগামি একদিন মাথার উপর প্রচুর পেশার যাবে।তার যে ঢাকাতে যেতে হবে ভাইবা দিতে এটা মোটামুটি বিকেলের আগেই সবাই জেনে গেল।এই খবরে সব থেকে বেশি হয়ত খুশি হয়েছেন বাবা। পড়ালেখা শেষ করে বেকার ছেলে চোখের সামনে ঘুরে রেরাবে এটা কোনো বাবাই দেখতে চাই না।তার বাবাও চাই না।তাই নিজের ভাইবাতে যাওয়ায় খবর বাবাকে আগে জানালো হলো।বাবা খুব খুশি হলো। বিকলে তুলসিকে নিয়ে বাজারের দিকে এলো।মেয়েটা এমন হয়েছে যে ওর জন্য কিছু করতে পারলে ভিতর থেকে তৃপ্তি লাগে। তাও উপর সকালের বাইনা বিকেলে মেটানো হচ্ছে দেখেও তুলসির ছোট্র মনটা হয়তো খুশিতে ভরে উঠেছে। এমন মিষ্টি ভালোবাসার কোনো নাম হয়না।ঝালমুরির দোকানের সামনে দারিয়ে দুপ্লেট অডার করা হলো।ঝালমুরি শেষ করে চটপটি নেওয়া হলো।মশিউরের ধারনা ছিলো তুলসি বাজারে এসে ঝালমুরি চটপটি না খেয়ে ফুসকা খাবে কিন্তু সে তা খেল না।এ মেয়ে মনে হয় এখনো ফুসকার শ্বাদ নেয়নি।এ মেয়েকে ফুসকা খাওয়ালে কেমন হয়।তারপর মনে মনে ভাবল এতোটুকো মেয়ে এতোগুলো ফাস্টফুড খেল।আজ আর খাওয়ানো যাবে না।দুজন দুটা টুলে বসে রইলাম।একজন মহিলা সামনে দিয়ে এসে ঝালমুরির দোকান থেকে টাকা চাইলো।তাকে টাকা দেওয়া হলো না অপমানিত করা হলো।সাধারনত কোনো ভিক্ষুক টাকা চাইলে আমারা সাধারন মানুষ টাকা দেয় আর না দেই অপমান নিশ্রয় করি না। কিন্তু এই ঝালমুরি ওয়ালা করলেন।মশিউর আরো একবার মহিলাটির দিকে দেখলেন।মাথায় উড়না পরনে একটা ম্যাক্সি পায়ে পাতলা ফিতার সেন্ডেল।মহিলাটির মধ্য একটা বিশেষ গুন আছে।সাধারনত একপলকেই ফকির বা ভিক্ষুককে চেনা যায়। যার কারনে একদেখাতেই মানুষ তার সাইড দিয়ে সরে যায় আবার কেও একদেখাতেই পকেটে হাত দিয়ে টাকা বের করে।কিন্তু এ মহিলাটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি একজন ভিক্ষুক।যদি না তিনি নিজে থেকে কিছু বলে বা টাকা চায়।মশিউরের ধারনা ছিলো মহিলা ভিক্ষুক ময়লাযুক্ত কাপুর পড়ে ভিক্ষা করে কিন্তু এ মহিলার কাপুর ময়লা না। আবার উজ্জ্বলিতও না।দুটার মাঝামাঝি।মনে হয় ভিক্ষুক হলেও রুচিশীল। তুলসি বলল মামা এ মহিলাটি কে? মশিউর কিছু বলল না।মহিলাটি সামনে থেকে যাওয়ার সময় তুলসির হাতের চটপটির বাটিটা মাটিতে পড়ে গেল।আর তখনি মশিউরের ভিতরের বন্য মানুষের জিদটা মাথা চারা দিলো।সে মহিলাটিকে কড়া গলায় থামতে বললেন।মহিলাটি থামলেন। আপনি প্লেট ফেললেন কেন?
এমন কড়া কথা শুনে মহিলাটি হয়তো হকচোকিয়ে গেছেন।মহিলাটি মশিউরের দিকে তাকিয়ে আছেন কিন্তু কিছু বলছে না। হয়তো ভিক্ষুক হওয়ায় নিরব ভাষায় প্রতিবাদ করছেন। মশিউর আবার বলল, দেখে চলতে পারেন না।চটপটি তো ফেলে দিছেন। আবার নতুন কিনে দিন।মহিলাটি এবারো কিছু বলল না। মশিউর আবার ধমকিয়ে উঠল।এবার মহিলাটি নিচু মুখে বললেন আমার কাছে বাবা টাকা নাই ?মশিউর কঠিন করে বলল টাকা নাই ধাক্কা দেওয়ার আগে মনে ছিলো না।মহিলাটি এবারো কিছু বলল না। কাপুড় দিয়ে মুখ ডাকলেন। হয়তো চোখের পানি মুছলেন। কাইদাটা এমন যেন কেও না বোঝে। উত্তেজনা বসত মশিউর কখন উঠে দারিয়েছে তার খেয়াল নেই। সে এবার খেওয়াল করল সে দারিয়ে আছে। মহিলাটির চোখে যে পানি এসেছিলো এটা সে ধরতে পেরেছে হয়তো। মশিউর বলল আপনি যেহেতু অপরাধ করেছেন তো আমি এখন যা বলল আপনি তাই করবেন।মহিলাটি এবার ভাবলেন হয়ত তাকে প্লেট মাঠি থেকে তুলতে বলবে। মহিলাটি নিজে থেকেই প্লেট তুলতে চাইল। মশিউর বলল।আরে ধামেন। আগে বসেন। মশিউর তার মাথাকে আস্তে আস্তে শান্ত করার চেষ্টা করছিলো। মশিউর একটা টুল সামনে এগিয়ে দিলেন। মহিলাটি বসলেন।মহিলাটির ভিক্ষার ব্যাগটা টান দিয়ে নিয়ে নিলো। এই দু কাপ চটপটির দেন।মহিলাটি হয়তো ভাবলেন যে কয়টা টাকা তার আজ গোছানো হলো তাও এখন খোওয়া যাবে।মহিলাটি বললেন আমার জন্য নেওয়া লাগবে না বাবা।মশিউর বলল আমি আপনাকে কথা বলতে বারন করছি না।মহিলাটি চুপ করে গেলেন।যাথারিতি চটপটি আসল। দুজন খেল।পাশে তুলসি খেয়েই যাচ্ছে।তার মামা যে এমন করতে পারে তার ছোট্র মাথায় তা হয়তো আসছে না। মশিউর মহিলাটিকে বললেন বাসা কোথায় আপনার? মহিলাটি মাথা নিচু করে বললেন। ফরিদপুর? তো এখানে কেনো?মহিলাটি কিছু বলল না।এখানে থাকেন কোথায় ? মিরপুরেই থাকি। কুষ্টিয়ায় কেউ আপনার আপন নেই। মহিলাটি কিছু বললেন না।পাঠকদের বলে রাখা ভালো গল্পটিতে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার কথা বলা হচ্ছে।মশিউর আবার বলল মিরপুরে কোথায় থাকেন? রেলস্টেশন।
চটপটির বাটি শেষ করে। মহিলাটির ব্যাগ থেকে মশিউর টাকা বের করে বিল দিলো মহিলাটি দেখলেন কিন্তু কিছু বললেন না। কি আর বলবে তার হয়ত কিছু বলার নেই।
তুলসিকে নিয়ে উঠে আসার সময় মহিলাটির হাতে ব্যাগ দিয়ে বলল আগামি কদিন যেন আপনি এদিকে না আসেন সে ব্যবস্থা আমি করে দিয়েছি এর মধ্য হাজার দশেক টাকা আছে। টাকা পেয়ে একদিনে শাবাড় করবেন না।কয়েক মাস যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয় এভাবে চলবেন।মহিলাটির চোখ ভিজে উঠল।আবার পানিও পড়তে লাগল।আগেরটা হয়তো অসহায়ত্বের কান্না এবার আনন্দের কান্না।কিন্তু কোনটাকেই চেপে রাখা যায় না। মহিলাটি কাপুড় দিয়ে চোখ মোছার চেষ্টা করলেন কিন্তু পারলেন না। বরং কান্নার ছাপ স্পষ্ট হচ্ছিলো।
পৃথিবীতে অনেক বিচিত্র মানুষ পাওয়া যায় ।বিচিত্র তার সভাব।সেদিন মশিউর ভাইবা দিতে চলে গেলেন।মেধা,পরিশ্রম, আর ভাগ্য দিয়ে চাকরিটা হয়ে গেল তার। পোস্টিং ফরিদপুর। লিজাকে নিয়ে কেটে গেল তার কয়েকটি বছর। তার মধ্য কিছু ঘটনা ঘটে গেল।ফরিদপুরের যে জাইগায় তারা উঠেছিলো সেখানে ছিলো ওই মহিলা ভিক্ষুকের এলাকা।একদিন বাজারে বাজার করতে এসে মশিউর দেখতে পারে এই ভিক্ষুকে ।তিনি মশিউর কে দেখে মশিউরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে মশিউর মহিলাটিকে দেখে চিনতে পেরে সাথে সাথে বলে উঠল আরে আপনি? কেমন আছেন। আর এখানে কেন আপনাকে তো লাস্ট কুষ্টিয়াতে দেখছিলাম।মহিলাটির আগের অবস্থায় নেই শরীর একটু মনে হয় নরে বরে গেছেন।হয়তো অনেক দিন ঠিকমত খাওয়া দাওয়া হয়নি। মহিলাটি বলল আর শরীর। জিবনই চলে না।এবার আর মশিউর মহিলাটিকে কোনো আর্থিকভাবে সাহায্য করলেন না।এবার তিনি নিজের বাসাতে মহিলাটিকে আনলেন। লিজা মহিলাটিকে ভালো খাবার খাওয়ালেন। কিন্তু এই বয়সে আর ভালোখাওয়া মন থেকে আসে না।কারণ শরীর আর ভালো কিছু সহ্য করেনা। মনের শক্তি জোর কিছুই নেই। মহিলাটি দুজনকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বললেন।এবার দুজন কড়া করে বসলেন ।
আচ্ছা আপনার জিবনের কথা বলুন। আপনার ছেলে মেয়ে নেই। সংসার নেই।
মহিলাটি এক মনে ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলেন।যখন আমি ছোট তখন দিনকাল ভালোই কাটছিলো হঠাৎ বাবা মারা গেল।বাবা ছিলো একজন পরিশ্রমী মানুষ কখনো বসে থাকতেন না। আমরা ছিলাম একভাই একবোন। বাবার নিজের কোনো জমি জমা ছিলো না শুধু বাড়ির যে জমি ছিলো সেটুকুই।বাবা অন্যের জমিকে কাজ করত। আমার ভাইরের নাম রনি । পরিবারের একমাত্র ছেলে হিসাবে বাবা রনিকে পড়া লেখা করাতেন। কিন্তু আমি মেয়ে বলে পড়ালেখা করা হয়নি।
বাবা মারা যাওয়ার দুবছর পরে মা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এর মধ্য রনি বড় হয়ে যায়। নিজের মত চলতে পারে।কিন্তু আমি তখনো নিজের মত চলা ফেরা করতে পারিনা।তারপর এলাকার কিছু মুরুবিবা ধরে বিয়ে দিয়ে দেন। বাবা মার কিছুই পাইনি বাড়ির যে জাইগা ছিলো তা রনি লিখে নিয়েছিলো যদিও এখন আর ওর সেটুকও নেই সেদিন যেখানে আপনার সাথে দেখা হয়েছিলো। ওই ঝালমুরির দোকানও রনির ছিলো।
রনি আমার কোনো খোঁজখবর নেই না। মিরপুর একটা লোকের সাথে সে ব্যবহার খারাপ করে।যার জন্য তারা ওকে উচ্ছেদ করে। যদিও রনি আমার সাথে থাকত না। তবুও নিজের ভাই যেখানে নেই সেখানে আমার থাকা অসহায়ত্বের মত। তাই ওখান থেকে চলে এলাম। যদিও ভাইরের সাথে আসা হয়নি তার সাথে আমার তেমন কথা চলে না।আমি এখানে এসে উঠেছি বস্তিতে সেও এখানকারই এক বস্তিতে উঠেছে।কিন্তু আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই শেষ একবার ওর কাছে গিয়েছিলম কদিন আগে। আমার মাঝে মাঝে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয় ওর কাছে গিয়েছিলাম কিছু টাকা সাহায্যর জন্য যদিও আমার কাছে কিছু টাকা ছিলো আমার ধারনা ছিলো আমার আপন ভাই হয়তো আমাকে কিছু দিবে। ও তো আমাকে কিছু দিলোও না উল্টো আমাকে নষ্টা ভষ্টা বলতে শুরু করল এসব শুনে আমি ওখান থেকে চলে এসেছি।
মশিউর বলল।আপনার ভাই বিয়ে করেনি? না। ওর মেয়েতে এলার্জি হয়তো কারণ ও বৃহন্নলা। মানে হিজরা।ওর মন পশুর মত ওকে কে বিয়ে করবে আর ও কাকে বিয়ে করবে।
এবার মশিউর বলল আপনি বললেন আপনার বিয়ে হয়েছিলো। তা আপনি কি এখন ওখানে থাকেন না।
তিনি বললেন, না ।ওরা আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।
আপনার অপরাধ ?আমি নিজেও জানি না।তবে ওখানকার মানুষ আমাকে ভালোচোখে দেখত না।
মহিলাটি এবার বলে উঠল আমি এখন আসি। গরিবের বস্তিতে সময় পেলে আসবেন।
কখন মারা যায় তার তো ঠিক নাই। মানুষের তো কোনো গ্যারান্টিও নাই বলে মহিলাটি হাসতে লাগলেন।কি অপরুপ ভংগিতে মহিলাটি হাসলেন। এতো কষ্ট নিয়েও কি মানুষ হাসতে পারে এটা মশিউর বুঝতে পারে না।আসলেই মানুষ জিবনে অনেক অভিনয় করে চলে এই যেমন এই মহিলাটি অভিনয় করে যাওয়া সময় হেসে উঠে গেলেন।
সেদিনের ঘটনার প্রায় দশ দিন পড় লিজা বলল আচ্ছা চলো মহিলাটিকে আমাদের বাসাতে নিয়ে আসি।আমাদেরও তো কাজের লোক লাগে। তার উপর ওনাকে দেখাও হবে। সেদিন মহিলাটি চলে যাওয়ার পর থেকে মশিউর আর লিজার মধ্য খুব কথা হতো মহিলাটির ব্যাপারে। অবশেষে আজ তারা মহিলাটির বস্তিতে আসল। এসে যা দেখল তা দেখার মত ছিলো না।একজন মহিলা ,ভিক্ষুক মহিলাটির মাথায় পানি ডালছে। মশিউরকে দেখামাত্র মহিলাটি মাথা তুলে দেখলেন।আর তারপরেই চিরোদিনের মত দেখার শক্তি হারিয়ে গেল।মশিউর,আর লিজা মহিলাটির পাশেই বসে পড়ল।তার কিছুক্ষন পর রনি আসল।একদম মহিলার মত কান্না করতে লাগলেন। ঘরের মধ্য তখন কিছু মহিলা কাপুড় চেপে শব্দ শোনা যায় না এমন ভংগিতে কাঁনছিলো। রনি একাই যেন কেঁদে ভাসিয়ে দিচ্ছিলো।মশিউর মনে মনে ভাবল এ কান্না কিসে? কোথা থেকে আসছে। এতো অভিনয় নয়। স্পষ্ট কান্না। বোনকে না দেখতে আসলেও ওর কিছুই হবে না। এটা কি তাহলে বোনের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসার কান্না নাকি কোনো অপরাধ বোধের কান্না ।যে কান্না কেদে কেদে বলছে। আমি তোর প্রতি অনেক অবিচার করেছি অনেক কষ্ট দিয়েছি।আমাকে মাপ করে দে বোন।এখন থেকে যতোদিন রনি বাচবে ততোদিন হয়তো এই অপরাধ বোধ কাজ করবে। আবার হয়তো করবে না।
সমাপ্ত।
লেখা:মশিউর রহমান
Comments (0)