Search

অজ্ঞাতকুলশীল (সম্পূর্ণ)

  • Share this:

দ্বিতীয় বর্ষের তখন প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ হয়েছে; ৭ দিনের একটা ছোট্ট ব্রেক; অন্যান্য সময় ৩/৪ দিনের ছুটি থাকলেও বাড়িতে চলে যায়, এবার কোন কারণে যাওয়া হয়নি।

টুকিটাকিতে বসে চা খাচ্ছি সকালের দিকে; সবে মাত্র ৮টা বাজে; ছেলেমেয়েরা ক্লাসে আসতে শুরু করেছে; ক্যাম্পাস মোটামুটি ফাঁকা।

হুট করে পেছন থেকে এসে কেউ বললো: ভাইয়া তুমি এতো সকালে আজ ক্যাম্পাসে?

পেছন ফিরে দেখলাম; চিনতে পারছি না; হয়তো আমায় চিনে, আমিও চিনি হয়তো মনে পড়ছে না; তুমি করে যেহেতু বলছে নিশ্চয়ই কোন বড়ো আপু হবেন।

- এইতো আপু, সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে গেলো, রুমেও ভালো লাগছিলো না। তাই আসলাম। আপনি কি ক্লাসে যাবেন?

- না,আমি তো এসেছি তোমার সাথে দেখা করতে; আমাকেও এক কাপ চা খাওয়াও।

.

আমি কিছুটা বিস্মিত হলাম, আসলে আমি দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছি, এমন ভাবে কথা বলছে যেনো খুব পরিচিত; কিন্তু আমি চিনতেই পারছি না। যা-ই হোক; আর একটা চা দিতে বললাম।

উনি চা খাচ্ছেন আর আমি মনে করার চেষ্টা করছি উনি কে?

- ভাইয়া শোন,তোমার ১ম বর্ষ ২য় সেমিস্টারের নোটগুলো কাউকে দিয়েছো?

- না, আমার কাছেই আছে!

- ঠিক আছে, ওইগুলো আমাকে দিবে।

(আমি আসলে দ্বিধাগ্রস্ত, উনি আমার নোট নিবেন? আমার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র কারো পরিচিত কেউ? নাকি আমার জুনিয়র?

যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে তুমি তুমি করে কথা বলছে; জুনিয়র কি ভাবে হয়? আর আমি মিডিয়াম লেবেলের ছাত্র, আমার নোট উনার কি কাজে আসবে?)

-ঠিক আছে আপু,কিন্তু আপনি আমার নোট দিয়ে কি করবেন?

-আল্লাহ ভাইয়া তুমি আমাকে চেনোই না! তাই তো বলি কখন থেকে আমার সাথে আপনি আপনি করে কথা বলছো। আমি তো তোমার ডিপার্টমেন্টেরই; আমি তোমার জুনিয়র।

(এবার আমার কিছুটা মেজাজ বিগড়ে গেলো; একে তো অপরিচিত তারপর জুনিয়র, কি সুন্দর এসে তুমি তুমি করে কথা বলা শুরু করেছে; আমি যেনো এর নিজের ভাই; নাকি আমার সাথে এর ২০ বছরের চেনাজানা। চিন্তা করে ফেলেছি, আর যা-ই হোক একে কোন ভাবে আমার নোট তো দিবোই না; বন্ধুদেরও দিতে দিবো না; কিন্তু কিছু বুঝতে তো দেওয়া যাবে না একে।)

- জি, আসলে আপনার সাথে আমার হয়তো আগে দেখা হয়নি; পরিচিত ও না; সুতরাং আপনি করেই তো বলা উচিৎ।

- আল্লাহ! কি বলো ভাইয়া? সত্যি তুমি আমায় চিনো না! আমাদের তো প্রতিদিনই প্রায় দেখা হয়; তুমি ডিপার্টমেন্টের সামনে দাড়ায়ে থাকো; আমি তো ক্লাসে যেতে আসতেই তোমাকে দেখি।

- হয়তো আমি খেয়াল করিনি!

- ঠিক আছে কোন বিষয় না; আমি হচ্ছে দিয়া, দিয়া আহমেদ। আর আমি তোমার জুনিয়র, তুমি আমায় আপনি আপনি করে বলবা না।

- হুম বুঝলাম!

-তুমি কি ক্যাম্পাসে থাকবে, নাকি রুমে যাবে?

- আমি কিছু সময় আছি।

- ঠিক আছে, আমি তাহলে রুমে গেলাম।

.

২য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে ২/৩ দিন হচ্ছে; ক্লাস নাই, ক্লাস রুমের বাইরে দাড়িয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছি; হঠাৎ দিয়ার আবির্ভাব।

- ভাইয়া কেমন আছো?

- এইতো চলছে; তোমার কি অবস্থা?

- হুম ভালো; ভাইয়া, নোটগুলো কখন নিবো?

- আমার মনে নাই; দেখি খুজে দেখবো। (আসলে এটা অজুহাত, বন্ধুদেরও বলেছি যেনো এই মেয়েকে নোট না দেয়)

এরপর যেখানেই দেখা হয় মেয়ে নোটের কথা বলে আর আমি সুন্দর করে কিছু একটা বলে এড়িয়ে যায়।

বন্ধরা তো বলা শুরু করেছে: কি রে, এই মেয়ের সাথে তোর চক্কর কি?? এই মেয়ে ডিপার্টমেন্টের কোন সিনিয়র ছেলের সাথে কথা বলে না; তোর সাথে এতো ভাব কেন; সত্যি কথা বল! আমি তো কিছুই বলতে পারি না; হা করে থাকি কোন উত্তর খুঁজে না পেয়ে। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারি না এই মেয়ে আমার সাথে ছাড়া আর কোন সিনিয়রের সাথে কথা বলে না।

.

প্রায় সপ্তাহ দুই পরের কথা; সকাল সকাল ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে মিজাজটা গরম হয়ে গিয়েছে; আননোন নাম্বার থেকে ফোন।

ফোন রিসিভ করলাম; একটা মেয়েলি কন্ঠ!

- ভাইয়া, তুমি এখনো ঘুমে? আমি কখন থেকে ফোন করছি; আমি তোমার মেসের বাইরে দাড়ানো, দ্রুত আসো।

- কে আপনি? (বলতে বলতেই কেটে গিয়েছে)

হাতমুখ না ধুয়ে বাইরে বের হয়ে এসেছি; এসে দেখি দিয়া দাড়িয়ে আছে।

- কি রে, তুই এতো সকালে এখানে কি করিস?

- তোমার কাছে এসেছি; সকাল সকাল তোমার ঘুম ভাঙ্গালাম; স্যরি।

- বল, কি বলবি।

- তুমি ফ্রেশ হয়ে আমায় নোটগুলো এনে দাও।

- তুই ততক্ষণ এখানে দাড়িয়ে থাকবি; যা এখন। আমি ক্যাম্পাসে নিয়ে যাবো।

- না, আমি দাড়িয়ে আছি; তুমি নিয়ে আসো।

(বুঝলাম অনেক ভেজাল করছি ; আর ভেজাল করে লাভ হবে না। সুতরাং নোটগুলো এনে দিয়ে দিলাম)

- নোটগুলোর জন্য শুধু শুধু এতোদিন ঘুরাইছো আমায়; আর আজ চলে গেলে তুমি নোটগুলো নিয়ে যেতে না তাও জানি। এজন্য তোমায় একটু সকাল সকাল জ্বালাইলাম। দুঃখিত!

- ওকে যা এখন।

.

মেয়ে দেখি এখন সামনে দিয়ে ক্লাসে যায়, দেখা হলে সালাম-কালাম, ভালোমন্দ তো দূরেই থাক। কথাই বলে না। নোট নেওয়া শেষ তো .....!

মনে মনে শুধু বলি: মেয়ে মানুষ বলে তোকে কিছু বলি না; ছেলে হলে তোকে একপায়ে খাড়া করে রোদে দাড় করিয়ে রাখতাম।

প্রায় ১মাস পরের কথা; আজও সকাল সকাল টুকিটাকিতে এসে বসে রয়েছি; দিয়া এসে হাজির।

- ভাইয়া, চা খেয়েছো?

- না, খাবো।

- ওকে, দুইটা চা দিতে বলো।

চা দিতে বলে বসে আছি চুপচাপ।

-ভাইয়া, তোমার সামনে আমি বসে আছি, আর তুমি চুপচাপ বসে আছো!

- তো কি করবো?

- তুমি তো আমার সাথে কথা বলাই ভুলে গেছো?

(মিজাজ কি পরিমাণ গরম হয় রে ভাই, এই মেয়ে কে নোটগুলো দেওয়ার পর ভালোমন্দ ও জিজ্ঞেস করে না আর এখন এসে আবার উল্টো পাল্টা বকা শুরু করেছে।)

- তোরে কি আমার কোন দরকার পড়েছে? দরকার না পড়লে কি কথা বলবো? আর তোর সাথে তো আমার দেখাও হয় না।

- কি বলো ভাইয়া, দরকার না হলে কথা বলতে নাই? আর তোমার সাথে তো প্রতিদিন দেখা হয়।

- ফাও প্যাঁচাল বাদ দে; কিছু বলার থাকলে বল না হলে চা খেয়ে বিদায় হ।

- ওকে যাচ্ছি।

.

আমি একা একা টুকিটাকিতে বসলেই এই মেয়ে কোথা থেকে এসে হাজির হয়ে যায়; ডিপার্টমেন্টে দেখলে মনে হয় কি ভদ্র মেয়ে রে বাবা, চোখ মুখ নড়ে না, মাথা উপরে উঠে না।

এসেই শুরু করে প্যাঁচাল।

ইদানিং তো মাঝে মাঝে সকাল সকাল আমার মেসের সামনে গিয়ে হাজির হয়ে ফোন দেয়।

ভাইয়া আজ স্যার এটা বুঝাইছে, বুঝি নাই। ভাইয়া এই ম্যাথটা বুঝায় দাও।

আমি নিজেই পড়া বুঝি না; এইডারে কি বুঝাবো। যা পারি বুঝায়।

ইদানিং তো মেসের মধ্যেও অনেকে অনেক রকম বলে; কি রে রিয়াদ তোর চক্কর কি রে, রিয়াদ মেয়েটা কে রে, রিয়াদ প্রেম করতেছিস, তোর তো লক্ষণ ভালো না। আরো কতো রকম কথা; আমি পড়েছি মহা মুশকিলে। কাউকে বুঝাইতে পারি না, কিছু বললেও বুঝে না।

কি আর করা; কিছু বলতেও পারি না।

একদিন হুট করে বলেছি: তোর কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আমারে জ্বালানো ছাড়া। আর তোর চার বিল দিতে দিতে কবে আমি ফকির হয়ে যাবো। নিজে চলি বাপের টাকায় তারপর তুই এসে করিস জ্বালাতন!

বললে দেখলাম মন খারাপ হয়ে গিয়েছে; আর কখনো জ্বালাবে না বলে চলে গেলো।

.

অনেকদিন হয়ে গেছে; দিয়ার দেখা নেই। ক্লাস করে না নাকি! ক্লাসেও তো আসতে দেখি না।

আগের দিন অনেক বকা দেওয়া হয়েছে ভেবে খারাপ লাগে।

আবার এটা ভাবি যে অন্তত প্যারা তো দিচ্ছে না।

ভাবতে দেরি আছে, মহাশয়ার আসতে দেরি নাই!

এসেই দুইটা চায়ের অর্ডার দিলো।

- এখন থেকে আমি তোমাকে খাওয়াবো; এখন আর কি বলবা?

- তুই খাওয়াবি? যাক দিনে একটা চায়ের খরচ তো বাঁচবে!

ইদানিং দিয়ার পকেট কাটছি খুব; শুধু চা নয়, মাঝে মাঝে পটিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যায়। বিল ওর!

বেচারি, কিছু বলে না।

কিন্তু আমার ইদানিং খারাপ লাগা শুরু করেছে; একটা জুনিয়রের কাছ থেকে এভাবে নিয়মিত খেতেও তো লজ্জা লাগে।

মাঝে মাঝে তাই আমিও খাওয়াই।

.

আসলে আমরা যে কোথা থেকে কোথায় গড়াচ্ছি নিজেরাও জানি না।

দুজনে একেবারে ক্লোজ ফ্রেন্ডের মতো হয়ে গিয়েছি। দুজন যে কি পরিমাণ ঘুরাঘুরি করি বলে শেষ করা যাবে না।

.

ক্যাম্পাসে গরমের ছুটি হয়েছে; আমি বাড়ি চলে যাবো আগামীকাল।

দিয়া আর আমি ছুটির আগে চরম আড্ডা দিচ্ছি। হুট করে ও যা বলে আমি তো হতবাক; প্রথমে ভেবেছি ফাজলামো; পরে দেখি সিরিয়াস!

- ভাইয়া,

- বল কি বলবি।

- আমি তোমার সাথে যবো।

- কোথায় যাবি?

- তোমাদের বাড়িতে।

- আমার আম্মা পিটিয়ে ছাল তুলে দিবে।

- তুমি তোমার আম্মাকে খুব ভয় পাও?

- একটু তো পাই।

- আমি যদি তোমার আম্মাকে বলি।

- তোর মাথা খারাপ?

- তোমার আম্মার নাম্বার দাও।

- তুই কি পাগল হইলি?

শেষ পর্যন্ত জোর করে নাম্বার নিয়েছে; আম্মাকে কি বলেছে কি জানি? আম্মা আমায় বলে ওকে নিয়ে যেতে।

আমি তো আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি; কিভাবে কি হলো!

আম্মা এতো কঠিন মানুষ, এতো সহজে রাজি হয়ে গেলো?

কি আর করা; নিয়ে যেতে হবে এখন।

.

বাড়িতে এসেছি কয়েকদিন হচ্ছে; দিয়াকে দেখে তো বোঝায় যায় না প্রথম এসেছে। যাক অন্তত আমার মাথা খারাপ করছে না।

সারাদিন বোন আর আম্মার সাথেই থাকে সারাদিন। আর বোনের সাথে কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়ায়!

আমি বিন্দাস বন্ধুদের সাথে ঘুরি আড্ডা দেয়; আর দিয়া পেয়েছে বোনকে।

চলে আসার সময় হয়ে এসেছে; আম্মা একদিন হুট করে জিজ্ঞাসা করে:

- তোরা কি শুধুই বন্ধু?

- তো আর কি হবো?

- না বলছিলাম মেয়েটা তো খারাপ না; অন্য কিছু থাকলে বল।

- তুমি কি যে বলো আম্মা। আমরা শুধুই ভালো বন্ধু।

- কিছু হলে বলিস....

.

ক্যাম্পাসে এসেছি কয়েকদিন হলো; আম্মার কথা মাথায় বারবার নাড়া দেয়!

একদিন বসে আছি শহীদমিনারের সামনে, দিয়া বরাবরের মতো জ্বালাতন করতেছে।

- তুই তো আর কাউকে এমন জ্বালাতন করিস না; আমায় এমন জ্বালাস কেন?

- তোমায় ভালোলাগে তাই জ্বালাই!

- প্রেম করবি আমার সাথে?

- দেখেছো, এই জন্য কোন ছেলেকে বিশ্বাস করতে হয়না। ভালোভাবে কথা বললে তারা প্রপোজ করবেই; এতোদিন তো ছিলে, এখন তো সেই তুমিও!

.

পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যস্ত বেশি হয়ে গিয়েছি। দিয়ার সামনে তে যায়ই না। কি একটা লজ্জার ভেতর না পড়েছি। কেন যে সেদিন ঐ কথা বলতে গেলাম!

সেমিনার লাইব্রেরিতে বসে আছি; মোটামুটি এখন ফাঁকা বলা চলে! একটা ম্যাথ কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না। বোঝার খুব চেষ্টা করছি। দিয়া এসে হাজির; আমি তো বইয়ে মুখ গুজে বসে আছি; উপরে তাকায়ই না।

অনেক ক্ষণ নাটক করেছো; আর বসে থাকতে ভালো লাগছে না। সাদে চলো; কথা আছে। বলেই চলে গেলো। আমি আর কি করি; আমিও গেলাম পিছু পিছু।

- আসলে আমি ঐদিন ফাজলামো করছিলাম; তুই এভাবে ভাববি বুঝি নাই; দুঃখিত।

- তুমি যে কি তা বোঝা হয়ে গিয়েছে? এসেছে প্রপোজ করতে; তাও আবার কেমন প্রপোজ! তুই আমার সাথে প্রেম করবি? (ঠোঁট উল্টিয়ে বললো)

- আসলে..

- হইছে আর ছাপাই গাইতে হবে না; প্রপোজ করতেও জানে না তার আবার প্রেম করার শখ। আমি এখন থেকে আর চা খাওয়াতে পারবো না; ঘুরতে গেলেও খরচ তোমার।

- মানে কি?

- মানে বুঝো না?

- তোর প্রেম করার দরকার নেই; তুই চা খাওয়ার টাকা দিস।

- সে দেখা যাবে।

সময়টা গড়াচ্ছে, দিয়ার পাগলামো ও সীমাহীন! আমরা যে আসলে প্রেম করি কি না সেটা আমিই বুঝে উঠে পারি না। তবে আমাদের মাঝে রয়েছে প্রচুর স্বচ্ছতা।

সিনেটের চিপা, রাতের আমতলার প্রেম কখনো হয়নি; তবে এ ভালোবাসার রয়েছে এক অদ্ভুত রং; এই রং কি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারি"

আসলে ব্যাখ্যা করার মতো কিছু খুজেই পাই না। কোন এক অজানা বন্ধন আর কোন এক একই স্রোতে ভেসে চলা; সেই স্রোতের প্রতিটি ঢেউকে বিশ্বাস করে নিজেকে সঁপে দেওয়া। ঢেউয়ের প্রতিটি স্রোত যে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে চলছে বুঝে উঠা মুশকিল।

এই স্রোতের ঢেউ গুলো যে কোথায় নিয়ে থামাবে তা আমরা কেউই জানি না; শুধুই দুজনের একসাথে বিশ্বাস আর ভালোবাসায় পথচলা।

বন্ধুরা কখনো কখনো হিংসা করে; কখনো অনেকে অনেক কথা বলে।

সব কিছুর ভেতর দিয়ে সময় গড়াচ্ছে।

.

স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ও শেষ করে ফেললাম; মাথায় সব সময় চিন্তা ঘুরে। কি করবো; একটা চাকরি পেতে হবে। ঢাকামুখি হবো নাকি এখানেই থাকবো। কতো শতো চিন্তা যে মাথায় ঘুরপাক খায় তার হিসেব নেই।

সরকারি চাকরির জন্য বসে বসে পরীক্ষা দিবো নাকি বেসরকারী কোম্পানিতে ঢোকার চেষ্টা করবো! ব্যাংকে কি আবেদন করবো?

এতো এতো চিন্তার ভিড়ে আমি হারিয়ে যাই।

দিয়ার সাথে ঝগড়া হয় মাঝে মাঝেই। অদ্ভুত মেয়ে, নিজে থেকে আবার ঝগড়া মিটিয়ে ফেলে।

আসলে এখন এমন একটা সময় পার করেছি যখন সব কিছুই আমার দ্বিধার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।

.

দিয়ার সাথে দেখা হচ্ছে না অনেক দিন; আজ হুট করে দেখা করতে বললো তাও আবার ভরদুপুরে।

শনিবার, ফ্যাকাল্টির সাদটা পুরোই জনশূন্য; দিয়া অনেকগুলো বাটিতে কি কি যেনো নিয়ে এসেছে।

-তুমি কি খাবে; আমার ক্ষুধা লেগেছে; না খেলে কিন্তু সব খেয়ে ফেলবো;

খাচ্ছি আর কথা বলছি, কথা বলছি না কি শুধুই শুনছি! আমার মনোযোগ খাবারের দিকে, মেয়েটা অদ্ভুত ভালো রান্না করে। যতোটা না কথা শুনছি তার থেকে বেশি গোগ্রাসে গিলছি। আর দিয়া যতোটা না খাচ্ছে তার থেকে বেশি কথা বলে চলছে।

এই মেয়েটাকে যে কেন আমি শুধু শুধু রাগ দেখায়! পরে অবশ্য নিজের খারাপ লাগে।

-তুমি এতো চিন্তা করো কেন সবসময়; চাকরি আজ না হয় কাল হয়ে যাবে। সব সময় মন ভালো রাখবা। মন খারাপ থাকলে আর সবকিছুই তো খারাপ হবে।

-হুম

-কি হুম

- তুই যা বলেছিস সেটাই

- তুমি এমন হয়ে যাচ্ছ কেন? কতদিন জিজ্ঞেস করো না আমি কেমন আছি....

(তাই তো, সত্যি আমি কেমন হয়ে যাচ্ছি)

-শোন, তোর শরীর ভালো আছে?

খিলখিল করে হেসে দেয় দিয়া!

-তুমি আসলে.....

.

স্নাতকোত্তর শেষ করেছি তিন বছর হয়ে গিয়েছে; চাকরি ও হয়েছে একটা মোটামুটি।

দিয়া ও স্নাতকোত্তর শেষ করে বসে আছে।

আমি এসেছি দিয়ার সাথে দেখা করতে; অনেক দিন পর। আজ অনেক কিছু চিন্তা করে এসেছি। দিয়াকে আজ বিয়ের কথা বলবো।

আজ শনিবার, ফ্যাকাল্টির সাদ জনশূন্য; দিয়া নীল শাড়ি পরে এসেছে; যেনো ডানা ছাড়া নীল পরী। মেয়েটা এতো শান্ত হয়ে গিয়েছে এই কয়েক বছরে; এতো শান্ত দিয়াকে মানায় না; যতোটা স্রোতের মতো বাধাহীন দিয়া ছিলো তাকে কোথায় খুঁজে পাই। আমি তো কখনো স্রোতে বাধ দিতে চায়নি। কিন্তু সময়ের নিয়মেই হয়তো এসে গিয়েছে একটা বাঁধ। স্রোতকে করে দিয়েছে এতোটা শান্ত।

তবুও আমি এই এতো কমলতার মাঝে স্রোতস্বীনি দিয়ার একবিন্দু কমতি খুঁজে পাই না। তবুও স্রোতস্বীনি থাকাটাই কি ভালো ছিলো না!

- এতো কি চিন্তা করো?

- হুম! কিছু না। তুই কি আরো সুন্দর হয়েছিস?

- তেমন মনে হচ্ছে নাকি?

-হুম, মনে তো কতো কিছুই হয়।

- কি কি মনে হয়!

- মনে হয় আমরা বিয়ে করে ফেলি।

- তো বিয়ে করলেই হয়।

- সত্যি!! আব্বা আম্মাকে বলি তাহলে!

- তুমি কি সিরিয়াস নাকি??

- সিরিয়াস না হওয়ার কি আছে?

(দিয়া চুপ হয়ে যায়; মুখে মেঘের ঘনঘটা! হুট করে কি হলো? ওকে চুপ করে থাকতে দেখে আমার ভেতরে ভীতি কাজ করা শুরু করে।)

- তুমি যে আমাকে বিয়ে করতে চাও; আমার সম্পর্কে কতোটুকু জানো?

- অনেক কিছু জানি, তুই দিয়া, এমবিএ শেষ করেছিস, অনেক ভালো একটা মেয়ে। আর কি জানা লাগবে?

- তুমি কখনো আমার বাবা মা, আমার পরিচয়, এগুলো জানতে চেয়েছো বা জানো?

(তাই তো, আমি দিয়া সম্পর্কে কতটুকুই বা জানি। আচ্ছা এতো বছর ওকে চিনি, কখনো কেন পরিচয় জানার আগ্রহ জাগে নাই। ওর সম্পর্কে তো সত্যিই কিছু জানি না। এখন জিনিসটা এতো অদ্ভুত লাগছে। আচ্ছা ও তো আমাদের বাড়িতে গিয়েছে; আম্মা হয়তো জানবে।)

- কি চুপ কেন? কি জানো আমার সম্পর্কে?

- এতো জানা লাগবে কেন? যতটুকু জানি তাই যথেষ্ট ; আর আমি তো তোকে বিয়ে করবো। বিয়ে করতে এতো কিছু জানা লাগে নাকি? তোকে কতো বছর ধরে চিনি এটাই তো যথেষ্ট।

- না যথেষ্ট না; তুমি যতোটা সহজ ভাবছো এতটা সহজ নয়।

- সহজ করলেই সহজ; তুই শুধু শুধু জটিল করতেছিস।

- শুধু শুধু জিদ করো কেন?

- জিদ করছি ভালো!

- ওকে তাহলে শুন, আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে গেলে তুমি মারা যেতে পারো। সব কিছু বুঝেও তোমার সাথে থাকার লোভটা সামলাতে পারি না আমি। আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই চিনি; তুমি যখন বেশ ছোট। কিন্তু এতো বছরে তোমাকে এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি যে তুমি হারিয়ে যাবে এটা মানতে পারবো না। তুমি বেঁচে থাকো; চোখের সামনে থাকো। তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করে নাও; আমি সবসময় তোমার কাছে কাছে থাকবো তোমার বন্ধু হয়ে।

- কি ফাজলামো শুরু করলি দিয়া; আমি কিন্তু সত্যি রেগে যাবো; আর বিয়ে করলে তো মরবোই; তোকে করলে ও মরবো অন্য কাউকে করলে ও মরবো। বিয়ে করা মানেই তো মরে যাওয়া।

- আমি সিরিয়াস; তুমি ফাজলামো ভাবছো। তোমার আমার শারীরিক সম্পর্ক হলে তুমি মরে যেতে পারো।

- কি শুরু করলি তুই। এইটা তোকে কে বলেছে।

- এটা আমি জানি।

- অনেক ফাজলামো হয়েছে। এবার তো থাম।

- আমি মোটেও ফাজলামো করছি না।

(দিয়ার মুখের ভাব আসলেই অনেক সিরিয়াস)

- ঠিক আছে বুঝলাম; কিন্তু মারা যাওয়ার কারণ তো বল।

- আগুনে কিছু দিলে তো সেটা ঝলসে যায়, তাইনা??

- মানে কি??

- আমি আগুন!

- আসলে তুই আর ভালো হবি না। নাটকবাজী বন্ধ কর তো।

- নাটক না। আমি সত্যি আগুন। আমি তোমাদের মতো না।

- কেউ কারো মতো হয় নাকি?

- তুমি বুঝতেছো না কেন? আমি মানুষই না।

- হাহাহা, তো তুই কি ভুত বুঝি??

- ভুত বলে কিছু নাই; আমি পরী।

- তুই তো পরীই; নীল পরী।

- তুমি বুঝতেছোই না। আমি জ্বীন গোত্রের।

- ঠিক আছে, বিশ্বাস করলাম, এবার প্রমাণ দেখা।

-বুঝেছি তোমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না; অপেক্ষা করো।

( বলার সাথে সাথে দিয়া হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো; কোথায় গেলো। আসলে কি আমার বিশ্বাস করা উচিৎ? কি হচ্ছে সব?? আমার কি ভয় পাওয়া উচিৎ?? আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছি।)

কাঁধের উপর একটা প্রজাপতি বসা; দিয়ার কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি।

- বিশ্বাস হলো তোমার?

- কোথায় তুই??

- তোমার কাঁধের উপর।

(কাঁধের উপর থেকে প্রজাতিরটা হাতের উপর আনলাম; কি সুন্দর প্রজাতি। আমি বারংবার বিস্মিত হচ্ছি। আমার কি ভয় পাওয়া উচিৎ; আমি তো মোটেও ভয় পাচ্ছি না।)

- ঠিক আছে। বুঝেছি। এবার স্বরূপ দেখা;

(এবার ওকে তো দেখতেই পাই না)

- কোথায় গেলি??

-আমার স্বরূপে তুমি তো আমায় দেখতে পাবে না।

- আগের অবস্থায় আয়; যেমন সবসময় থাকিস।

- হুম বলো; এবার কি বলবে?

- শারীরিক সম্পর্ক করতেই হবে এমন তো না।

- তারপরও; সমাজ, তোমার বাবা-মা, সবাই বাচ্চার কথা বলবেই।

- এসব চিন্তা পরে করা যাবে। চলো আমারা বিয়ে করি। সংসার করতে তো সমস্যা নাই আমার সাথে।

.

সময় গড়িয়েছে, আমারও বাড়ি থেকে চাপ বেড়েছে বিয়ে করার জন্য। বিয়ে করেছি ৫ বছর হলো। স্ত্রী নিয়ে আমি শহরেই আছি। একটা বাচ্চা আছে। বাচ্চাটা আমার আব্বা আম্মার কাছে থাকে। তাতে বলা যায় আমাদের দুজনেরই ছোট্ট সংসার। সারাদিন সোহানার খুব একাকিই কাটে। আমি অফিসের পর যতটা পার সময় দেয়।

ও! বলাই হয়নি, শেষ পর্যন্ত দিয়াকে আর বিয়ে করা হয়নি। ও নিজেই কখনো রাজি হয়নি। ওর সাথে সম্পর্ক ভালোই ছিলো।

বিয়ে করলাম যেদিন তারপর থেকে ওর আর দেখা নেই; প্রথম দিকে প্রচন্ড মন খারাপ হতো।

৫ বছর, সময়টা কম নয়; আস্তে আস্তে সয়ে গিয়েছে; কিন্তু ওকে ভোলা! এটা মোটেও সহজ নয়। কাউকে বলতে পারিনি, শুধু একা একা নিরবে সহ্য করে গিয়েছি ভেতরের যন্ত্রণা।

সোহানা প্রথম প্রথম মন খারাপ দেখলে জিজ্ঞেস করতো; কিন্তু কি উত্তর দিবো ওকে? কিছু বলা হয়নি ওকেও। এখনো মাঝে মাঝে প্রচন্ড মনে পড়ে, প্রচন্ড মন খারাপ হয়।

জবাব না পেতে পেতে সোহানাও এখন আর জিজ্ঞেস করে না।

আমিও চেষ্টা চালিয়ে যায় দিয়াকে ভুলে থাকার, সময় দেওয়ার চেষ্টা করি সোহানাকে।

.

অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসেছি; সোহানা খাচ্ছে; হয়তো কিছু বলবে; বলতে সংকোচ বোধ করছে অথবা ভয় পাচ্ছে।

- কি হয়েছে, কিছু বলবে??

- হুম!

- তো বলো।

- তুমি রাগ করবা না তো।

- রাগ করার মতো হলে করবো,

- তাহলে থাক

- বলো, রাগ করবো না।

- সত্যি তো।

- বলো

- তুমি নিষেধ করেছিলে বাইরের কারোর সাথে মিশতে...

- তো??

- আমার একটা বন্ধু হয়েছে....

- ছেলে বন্ধু না মেয়ে বন্ধু?

১০

- মেয়ে বন্ধু; মেয়েটা না অনেক ভালো। আমাদের পাশের ফ্লাটের। আমার খুব ভালো লাগে। অনেক দিন ধরে ভাবছি তোমায় বলবো। কিন্তু বলবো বলবো করো বলা হয়নি।

- হুম। ভালো।

- রাগ করেছো তুমি?

- না।

- শোন

- হুম।

- কাল ওকে আমাদের সাথে ডিনার করতে বলি...

- বলো।

.

খাবার টেবিলে বসে আছি; খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকতে খুব বিরক্ত লাগে। সোহানার বিশেষ বন্ধু আসবে ডিনারে৷ বসে বসে বিরক্ত হচ্ছি।

মানুষের একটা সময় জ্ঞান থাকে; এই মেয়ের কোন সময় জ্ঞান নেই।

সোহান কত রকম খাবার সাজাতে ব্যস্ত; খুব খুশি খুশি ভাব।

দরজা দিয়ে একটা মেয়ে ঢুকছে; নীল শাড়ি পরা। আমার চোখ আটকে আছে; চোখ সরানো দায়। নীল পরী; এই মেয়ের জন্য এটুকু সময় কেন, হাজার বছর অপেক্ষা করে থাকা সম্ভব।

- কেমন আছো ভাইয়া??

- হুম! (ঘোর কাটলো আমার)

- কেমন আছো?

- হুম ভালো; আপনি??

- হুম আমি ভালো; তুমি আমায় তুই তুই করে বলতে পারো।

- ওহ তুমি এসে গেছো; বসো দাড়িয়ে কেন?(বন্ধবিকে সোহানা)

এই শোন, ও হচ্ছে দিয়া। আর দিয়ার কিন্তু একটা বদ অভ্যাস আছে; ও সবার সাথে তুমি তুমি করে কথা বলে; তুমি কিন্তু কিছু মনে করো না।( আমাকে সোহানা)

-হুম।

আমি চুপচাপ খাচ্ছি; মনোযোগ সম্পূর্ণ দিয়ার দিকে। আমি যেনো চোখই সরাতে পারছি না অল্প সময়ের জন্য। এই নীল পরীটা এতোদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলো।

সোহানা হয়তো খেয়াল করেছে; কিন্তু আমার খেয়াল এখন সোহানার দিকে মোটেও নেই। ও কি ভাববে সেটাও ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে না।

.

খেয়ে উঠে তিনজন আড্ডা দিচ্ছি।

-তো আপনার বাসায় দাওয়াত দিচ্ছেন কবে?(আমি)

- আপনি বলা তো আগে ছাড়েন; তুই করে বলেন।(দিয়া)

- ঠিক আছে; এখন বল, তোর বাসায় কবে দাওয়াত?(আমি)

- তোমার তো শুধু খাওয়ার চিন্তা! (সোহানা)

- আরে ভাইয়া তো একটু খেতেই চাইছে তো কি হইছে। (দিয়া)

-আরে তুমি জানো না ও কি পরিমাণ খেতে থাকে। (সোহানা)

- খাওয়া তো ভালোই; তুমি বলো ভাইয়া কবে খাবে? (দিয়া)

- কাল খাওয়া তাহলে। (আমি)

- ওকে কালকের ডিনার আমার। (দিয়া)

১১

.

সাদে এসে দাড়িয়ে আছে; সোহানা আজ খুব ঘুমাচ্ছে; আমার ঘুম আসছে না। আমি জানি দিয়া আসবে।

-বৌ রেখে রাতে ছাদে থাকা মোটেও ভালো কথা না?

- তো কোনটা ভালো কথা; ফেলে রেখে চলে যাওয়া?

- তুমি তো খুব কথা শিখেছো!

- কোথায় ছিলি এতোদিন?

- তোমার আশেপাশেই; কিন্তু তোমার সামনে আসি নাই। ভেবেছিলাম তুমি ভুলে যাবে। কিন্তু তুমি তো দেখি বৌ পুরোপুরি ভালোবাসো না!

- কে বললো বাসি না; বাসি তো। কিন্তু তোকেও তো ভুলতে পারি না।

- বৌ কে পুরোপুরি ভালোবাসলে কি আর আমায় আসতে হতো।

- তুই আবার চলে যাবি না তো?

- যাবো না কিন্তু শর্ত আছে; শর্ত ভাংলে চলে যাবো কিন্তু...

- বল কি শর্ত।

- বৌ কে পুরোপুরি ভালোবাসবে, বৌ কে কখনো আমাদের কথা বলবে না। আর কখন কথা বলবে সেটা আমি বুঝবো, কথা বলার জন্য উতলা হবে না; তাতে তোমার বৌ বুঝে যাবে। তোমার বৌ অনেক ভালো; তাকে কষ্ট দিবে না। আর বৌএর সামনে আজ যেভাবে তাকিয়ে ছিলে ওভাবে তাকাবে না।

- সব শর্ত মঞ্জুর।

.

কতটা সময় পেরোলো। চুল দাড়িতে সাদা রং এসেছে। কত শত হাসি কান্নার ভেতর দিয়ে বয়স বেড়েছে।

একসাথে একই স্রোতে হেটে চলেছি আমি আর সোহানা; আর সোহানার বেস্টফ্রেন্ড দিয়া।

 

- আব্দুল্লাহ আহমেদ

Tags:

About author
আমি গল্প এবং বই প্রেমিক একজন মানুষ। গল্প এবং বই পড়তে খুবই ভালোবাসি। যেখানেই যে গল্প অথবা কাহিনী খুজে পাই সেগুলো সংগ্রহ করি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আমি নিজেও কয়েকটি গল্প লিখেছি তবে সেগুলোর সংখ্যাটা খুবই সামান্য।